বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১০:১৮
অমুসলিমদের রান্নাঘরে পবিত্রতা ও অপবিত্রতার বিষয়ে করণীয় বিধান

ইরানের অন্যতম শীর্ষ আলেমে দ্বীন ও মারজায়ে তাকলীদ আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি “যৌথ কর্মপরিবেশে অমুসলিমদের সঙ্গে পেশাগত সহযোগিতা এবং হালাল–হারাম গোশত ভক্ষণ সংক্রান্ত শরয়ী বিধান” বিষয়ে উত্থাপিত একটি ইস্তিফতার জবাব দিয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আধুনিক বিশ্বে আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ এবং বহুজাতিক কর্মপরিবেশে একসঙ্গে কাজ করা ক্রমেই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এই ধরনের পরিবেশে অনেক মুসলমান খাদ্যাভ্যাস, জীবনধারা এবং পবিত্রতা–অপবিত্রতা সংক্রান্ত পার্থক্যের কারণে শরয়ী জটিলতার মুখোমুখি হন। অমুসলিম সহকর্মীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রেখে ইসলামী বিধান মেনে চলার জন্য ফিকহি জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যক। আলোচ্য ইস্তিফতাটি এই ধরনের বাস্তব প্রশ্নের একটি স্পষ্ট উদাহরণ।

নিম্নে হযরত আয়াতুল্লাহিল উযমা মাকারেম শিরাজির উত্তর উপস্থাপন করা হলো—

প্রশ্ন: “আমার কাজের ধরন এমন যে, আমি চীনের প্রায় বিশজন নাগরিকের সঙ্গে একটি রান্নাঘরে একসঙ্গে কাজ করি। তারা হালাল ও হারাম গোশত ভক্ষণ এবং শরয়ী পবিত্রতা ও অপবিত্রতা (হালাল-হারাম) বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেয় না এবং এসব বিধান মানে না। এ অবস্থায় তাদের উপস্থিতিতে পবিত্রতা ও অপবিত্রতা বিষয়ে আমার দায়িত্ব কী?”

আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজি’র উত্তর:

১. যেসব প্রাণী শরয়ী পদ্ধতিতে জবাই করা হয়নি (শূকর ব্যতীত), সেগুলোর গোশত শরয়ী দৃষ্টিতে পবিত্র; তবে ভক্ষণ করা হারাম।

২. কেবল শূকরের গোশত ও মদ্যপ পানীয় স্বভাবগতভাবে (জাতগতভাবে) অপবিত্র।

৩. শরয়ী পবিত্রতার বিধান মানে না— এমন অমুসলিমদের সঙ্গে পেশাগত সহযোগিতা বা সহকর্মিতা নিজে নিজে নিষিদ্ধ নয়; তাদের থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন নেই।

৪. কেবল শূকর বা মদের মতো অপবিত্র বস্তুর সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ ঘটলে অপবিত্রতা থেকে বাঁচতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha